পাকিস্তানের বিচারিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে একটি পিটিশনের উপর শুনানির কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের এ কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে (পিটিভি) লাইভ টেলিকাস্ট করা হয়।
এর আগে রোববারই আদালতের এক বৈঠকের পর সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েস ঈসা।
জিও নিউজ জানিয়েছে, এদিন সর্বোচ্চ আদালতের ১৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণ আদালত সুপ্রিমকোর্ট (প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) অ্যাক্ট, ২০২৩ এর ওপর করা পিটিশনের ওপর শুনানি করে।
এই অ্যাক্ট নিয়ে পাকিস্তানে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে এক রকম ঠাণ্ডা লড়াই রয়েছে। কারণ এই আইনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির সুয়োমোটো ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।
ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে এই আইনের সংশোধনী বাতিল করে গেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তার দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পিটিশন করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুপ্রিমকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সেই পিটিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যা সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
খবরে বলা হয়েছে, এদিন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সরদার তারিক মাসুদ, ইজাজুল আহসান, সৈয়দ মানসুর আলি শাহ, মুনিব আখতার, ইয়াহিয়া আফ্রিদি, আমিনুদ্দিন খান, সাঈদ মাজাহার আলি আকবার নাকভি, জামাল খান মান্দোখেল, মুহাম্মদ আলি মাজহার, আয়েশা এ. মালিক, আতহার মিনাল্লাহ, সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি, শাহিদ ওয়াহিদ ও মুসাররাত হিলালি। শুনানি শুরুর আগে পূর্ণাঙ্গ কোর্টের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে রোববার শপথ নেওয়া পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এদিন কোনো প্রটোকল ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়িতে পৌঁছেছেন সুপ্রিমকোর্টে। স্টাফদের তিনি বলেছেন, সমস্যা সমাধানের আশায় সুপ্রিম কোর্টে আসেন জনগণ। ভিজিটরদের সঙ্গে অতিথির মতো আচরণ করবেন।
তিনি আরও বলেছেন, বিচারের দরজা উন্মুক্ত থাকা উচিত।
এসবের মাধ্যমে পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি চমক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।