মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী: ষাট হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় ২ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ জবছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
একই আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, জেলা ও দায়রা জজ পদে গত ৩০ আগস্ট কক্সবাজারে যোগদান করার পর বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এর এটি প্রথম রায়।
মামলায় দন্ডিত আসামীরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর উত্তর রহমতের বিল গ্রামের কামাল উদ্দিন ও ফাতেমা বেগমের পুত্র তারেকুর রহমান (২২) এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়ার আবদুর রহিম ও ফাতেমা বেগমের পুত্র জসিম উদ্দিন (২৫)।
রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালের পাশে কচুবনিয়া রাস্তার মাথায় র্যাব-১৫ এর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে তারেকুর রহমান এবং জসিম উদ্দিনকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ৬০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মোঃ হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার উখিয়া থানা মামলা নম্বর : ৬৭, তারিখ : ২০/১১/২০২১ ইংরেজি, যার জিআর মামলা নম্বর : ৯৬৯/২০২১ ইংরেজি (উখিয়া) এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৩৭২/২০২২ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি বিচারের জন্য ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীদের পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ধার্য্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারনীর ১০(গ) ধারায় আসামী তারেকুর রহমান (২২) এবং জসিম উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্থ করে তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।