সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর এবার বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন— অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থেই ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিচার বিভাগ প্রসঙ্গে পিটার হাস বলেন, ‘এখন দেখার বিষয়— কতটা নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে। প্রভাবমুক্তভাবে বিচারকার্য চলছে কিনা।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।’
তালিকায় কারা আছেন কিংবা সংখ্যা কত, প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত জানান, কতজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ।
ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভিসানীতি প্রয়োগ করেছি নিরপেক্ষভাবে। কারও পক্ষে কিংবা কারও বিপক্ষে নয়। তারা ক্ষমতাসীন দলের, নাকি বিরোধী দলে, তারা সরকারের পক্ষে নাকি বিপক্ষে— এটা বিবেচনা করে নয়।
তিনি আরও বলেন, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য, এমনকি বিচার বিভাগের কেউ হতে পারেন। সংবাদমাধ্যমও এর আওতায় পড়তে পারে। এসব কিছুই নির্ভর করবে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর।