নওগাঁয় ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী পক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা (২০) একই উপজেলার শংকরপুর চকনোয়াই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে মতিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১১ জুলাই মতিবুল ইসলামের বাড়ির শয়ন ঘরে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ কর্তৃক তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় মতিবুল ইসলাম ও শাহিনুর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, মতিবলু ইসলাম ফাতেমার গর্ভজাত নবজাতক পুত্র সন্তানের জৈবিক পিতা নয়। বরং ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে, শাহিনুর আলম ফাতেমার গর্ভজাত নবজাতক পুত্র সন্তানের জৈবিক পিতা।
পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালে সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, শাহিনুর আলম মামলা চলাকালীন ফাতেমাকে বিয়ে করে খালাসপ্রাপ্ত হন।
তবে শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে ধর্ষণের দাবী করা নারী ফাতেমার বিরুদ্ধে আজ ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন ভুক্তভোগী মতিবুল ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা উক্ত নারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। আগামী ২৯ জানুয়ারী আসামীর গ্রেফতার পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।