ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি এম ফতিমা বিবি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত ২৩ নভেম্বর কেরলের কোল্লাম শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
ছোট থেকেই মেধাবী ফতিমা ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। দেশটির শীর্ষ আদালতে সেই প্রথম কোনও নারীর বিচারপতির আসনে বসা। ১৯৯২ সালের ২৯ এপ্রিল অবসরগ্রহণের আগে পর্যন্ত ওই পদে বহাল ছিলেন তিনি।
১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসাবেও দায়িত্বভার সামলান ফতিমা। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত চার জনের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যও হয়েছিলেন ফতিমা।
১৯২৭ সালে কেরলের পঠানমতিতায় জন্ম ফতিমার। তিরুঅনন্তপুরমের উইমেন্স কলেজ থেকে রসায়নবিদ্যায় স্নাতক হওয়ার পর সরকারি আইন ল কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় স্বর্ণপদক পাওয়া ফতিমা ১৯৫০ সালে কোল্লাম জেলা আদালতে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে জেলা আদালত এবং দায়রা আদালতেও বিচারক হন তিনি। ১৯৮৩ সালে হাই কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে কর সংক্রান্ত ট্রাইবুনালেও বিচারক হিসাবে কাজ করেন তিনি।
প্রতিকূল পরিবেশ থেকে উঠে এসে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হওয়া ফতিমা সমকালীন সময়ে বহু তরুণীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। মনে করা হয়, মূলত তাঁর জন্যই বহু মেয়ে আইনকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন।