গোলাম রাব্বানী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শ্রদ্ধেয় অগ্রজ, বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক; একদিন কৌতূহলবশত ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার প্রতিষ্ঠানের খাদ্যসামগ্রী তো সারাদেশের মানুষ খাচ্ছে, আপনি ও আপনার পরিবারের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এই খাবার আছে কিনা?
ভাই একদম সততার সাথে বললেন, আমি মাঝেমধ্যে খাই, তোমার ভাবীও খায়, তবে বাচ্চাদের খাওয়াই না! কিন্তু কেক, বিস্কুট, ক্রিম রুটির মতো বেকারি ও নানা ধরনের ড্রিংস আইটেম তো বাচ্চারাই বেশি খায়! আমার স্বগতোক্তিতে ভাই চমৎকার একটা উদাহরণ দিলেন, যা সকল সচেতন বাবা-মায়ের মাথায় রাখা উচিত।
ভাই বললেন, তুমি বাসায় কোন কেক, বিস্কিট বা ড্রিংস বানালে একদিন বা বড়জোড় দুদিন পরেই তা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আমার প্রতিষ্ঠানে তৈরী করা কেক, বিস্কিট, ড্রিংস কিভাবে ১ মাস, ৩ মাস, ৬ মাস মেয়াদ থাকে, নিশ্চয়ই আমি তাতে এমন কিছু মিশিয়েছি, যা খাদ্যসামগ্রীর পচন রোধ করছে, আর তা মানবদেহের জন্য অবশ্যই উপকারী কিছু নয়।
তবে এ ধরনের খাদ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যে পরিমাণে মিশানো হয় তা পূর্ণ বয়স্কদের জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও তাতে বাচ্চাদের জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে।
আশা করি, সবাই অনুধাবন করবেন। বাচ্চাদের বাইরের প্রক্রিয়াজাত কোন খাবার খাওয়াবেন না। এতে আপনার সন্তান ও আপনজনের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।