মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ২৯৬, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বিকেল ৪টা অর্থাৎ অফিস সময়ের পরে আসার অভিযোগে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের নাগরিক ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেননি।
রিটার্নিং অফিসারের এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চে রীট পিটিশন দায়ের করলে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণের জন্য কেন আদেশ দেওয়া হবেনা, তৎমর্মে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট রুল জারী করেন।
রুলের শুনানী শেষে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করার জন্য হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসার মুহম্মদ শাহীন ইমরান ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি বাছাই করা হবে বলে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
বাছাইতে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ এর মনোনয়নপত্রটি বৈধ হলে কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে প্রার্থী হবে মোট ৬ জন। এরমধ্যে, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ হবেন একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বাকী ৫ জনই দলীয় প্রার্থী। তাঁরা হলেন- কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক, আওয়ামী লীগের সাইমুম সরওয়ার কমল ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসান।
আগেই এ আসনে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তিনি হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি।