চট্টগ্রামভিত্তিক নুরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জহির আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার বাড্ডা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কোতোয়ালি থানার ১৮টি ঋণখেলাপির মামলায় জহির আহমদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়া বিচারাধীন ছয়টি মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। জহির আহমেদকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
জানা গেছে, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ পায় নুরজাহান গ্রুপ। ২০২৩ সাল নাগাদ এ গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছয় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পাওনা আদায়ে ব্যাংকগুলো জহির আহমেদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি মামলা করেছে অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত তাঁর পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম জানান, রতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা ২০টি ঋণখেলাপি মামলা আদালতে বিচারাধীন। রতন ও তাঁর পরিবারের কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা রয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। গত জানুয়ারিতে রতনকে গ্রেপ্তারে চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসিকে কড়া নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমান।
সর্বশেষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৬৮ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৪৫২ টাকার ঋণখেলাপি মামলায় রতনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন অর্থঋণ আদালত। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪৬৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭০ টাকার খেলাপি মামলায় রতনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।