চুয়াডাঙ্গা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর/২০২৩ পর্যন্ত ১১ মাসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে ১ কোটি ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে এবং মামলার বাদী বা আবেদনকারী পক্ষকে প্রদান করা হয়েছে।
সারাদেশে লিগ্যাল এইড অফিসকে এডিআর কর্নার হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। কতৃর্পক্ষের যথাযথ নির্দেশনা মেনে কাজ করায় চুয়াডাঙ্গা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের গত এক বছরে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
প্রি—কেইস ও পোস্ট—কেইস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, চুয়াডাঙ্গা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে উপকারভোগীদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। দেনমোহর ও খোরপোশের দাবিতে প্রাপ্ত টাকা উদ্ধারে যেখানে আদালতে কয়েক বছর লেগে যায়, সেখানে চুয়াডাঙ্গা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে খুব সহজে এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। দেওয়ানি বিষয়ে অভিযোগের ও দ্রুত প্রতিকার দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যার কারণে বিচারপ্রার্থী মানুষের লিগ্যাল এইডের সেবার প্রতি আস্থা বেড়েছে।
গত ১১ মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে ৪১৬ টি প্রি—কেইস ও পোস্ট—কেইস নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৩৭৪ টি আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৬ টি সফল এডিআর হয়েছে এবং ৬১ টি মামলায় কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে পারিবারিক বিরোধ মিটিয়ে পক্ষদ্বয় সংসার করতে রাজি হয়। লিগ্যাল এইড অফিসে সফল এডিআরের কারণে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে চলমান কয়েক শত মামলা আদালত হইতে প্রত্যাহার হয়েছে।
একই সময়ে আইনজীবী নিয়োগে অসমর্থ্য এমন বিচারপ্রার্থীদের জন্য ৫১৫ টি মামলায় সরকারী খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারী খরচে পরিচালিত ২৮৪টি মামলা আদালতে বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে।
দেশের অন্যতম ছোট জেলা চুয়াডাঙ্গা। আদালত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী এবং বিচারকগণ চুয়াডাঙ্গা লিগ্যাল এইড অফিসের এই অর্জনকে সন্তোষজনক বলে অভিহিত করেছেন।
গত ২৯ নভেম্বর তারিখে মাসিক সভায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জিয়া হায়দার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের এই সাফল্যের জন্য জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সকলকে এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মোঃ সাইফুদ্দীন হোসাইনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় অন্যান্য আলোচকবৃন্দ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এর যোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।