রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত পাহাড় কাটতে না পারে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সাজেকে পাহাড়ের মাটি কাটা সম্পর্কে গত ২৯ মার্চ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।
রুলে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে বলেছেন এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা বিবাদীদের জানাতে বলেছেন।
শুনানিতে রিট পিটিশনারের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সাজেকে একটি প্রভাবশালী মহল পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ নষ্ট করছে, যা বন্ধ হওয়া আবশ্যক। কিন্তু এ বিষয়ে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যেহেতু বিষয়টি জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন বলে তিনি আবেদন জানান।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ৬খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহল আইন মান্য না করে পাহাড় কেটে প্রকৃতির ধ্বংস করছে।
রিট পিটিশনার হলেন- হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও রিপন বাড়ৈ।
বিবাদীরা হলেন- পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকসহ মোট নয়জন।
বাদী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল জাহিদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।