জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ (১৯৭৫-১৯৭৯) চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য চার সচিবের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাঁচ ব্যক্তির করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত বলেছেন, কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণসচিব ও অর্থসচিব থাকবেন। কমিটিকে আগামী ৪ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হলো।
রিটটি চলমান তদারকিতে থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী তামান্না ফেরদৌস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেয়। এ সত্ত্বেও নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, চাদপুরের ফরিদগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ হয়।
১৯৭৫ সালে জাতীয় মুক্তি বাহিনী ও জাতীয় মুজিব বাহিনী নামে দুটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুভক্ত কয়েক হাজার ছাত্র, তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধা তখন ওই বাহিনীতে যোগ দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সপরিবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৭ বছর পার হলেও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। যে কারণে পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ২০২২ সালে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ আদালত উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিলেন।