চট্টগ্রামে বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদযাপন করল আইনজীবীরা

চট্টগ্রামে বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদযাপন করল আইনজীবীরা

চট্টগ্রামে বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদযাপন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে সমিতির ৩নং মিলনায়তনে রোববার (৯ জুন) বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মো. মুজিবুল হক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন।

সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, অশোক কুমার দাশ, মো. আবদুর রশীদ, আইয়ুব খান, মো. আবুল হাশেম, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান খান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৬৬ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে ৬ দফা দাবী আত্নত্যাগের একটি সংগ্রামী দিন। এর উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে বাঙালির অধিকার আদায়ে স্বাধীনতার আন্দোলন যা পরবতীর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধে রুপ নেয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়। এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকসহ মোট ১১ জন বাঙালি নিহত হন। ৬ দফা আন্দোলনে প্রথম নিহত হয়েছিলেন সিলেটের মনু মিয়া।
ছয় দফা মূলত স্বাধীনতার এক দফা ছিল। ছয় দফার মধ্যেই স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল। প্রতি বছর ৭ই জুন বাংলাদেশে ‘৬ দফা দিবস’ পালন করা হয়।