হবিগঞ্জে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর আয়োজনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোববার ( ৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৪ টায় এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জ জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের প্রতি ইস্যুকৃত সমন এবং বিভিন্ন প্রসেস জারীকরণ; অনুসন্ধান এবং তদন্তকালীন দীর্ঘ সূত্রিতা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ; জখমী সনদ ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ছিলো মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মেডিক্যাল সনদ প্রদানকারী কর্মকর্তাগণসহ সরকারী কর্মকর্তাগণ স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান করেও অনলাইনে সাক্ষ্য প্রদান করে মামলার দীর্ঘ সূত্রিতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন মর্মে কনফারেন্সে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স এর ফোকাল পার্সন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছিফাত উল্লাহর উপস্থাপনা ও সঞ্চালনায় মহাগ্রন্থ আল কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব মোঃ হাসানুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নূরুল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব পূর্বিতা চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল হক, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার।
এছাড়া অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, আরএমও ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, ৫৫ বিজিবি এর সহকারী পরিচালক, র্যাব-৯ সিপিসি-০১ শায়েস্তগঞ্জ এর কোম্পানী কমান্ডার, পিবিআই, সি.আই.ডি, ডি.বি, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, জেলা সুপার মোঃ মতিয়ার রহমান, হবিগঞ্জ জেলা বার এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মোছাব্বির বকুল, পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ আব্দুল মজিদ খান সহ ফৌজদারী মামলা দায়ের, তদন্ত ও বিচার কাজের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।