যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (২৪ জুন) শাহিনুর রহমান শাহিন নামে একজন যুবক এ মামলাটি করেছেন। শাহিন শহরের ঘোপ জেল রোডের এনায়েত আলীর ছেলে।
আসামিরা হলেন- যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মানবপাচার দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কবির অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহজাহান কবীর খান বিপ্লব। তবে, এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন ওই দুই আইনজীবী।
মামলায় শাহিনুর রহমান শাহিন উল্লেখ করেছেন, তিনি আইনজীবী সমিতির দুই নম্বর ভবনের সামনে ফুটপাতে টেবিল রেখে কাপড়ের ব্যবসা করেন। গত ১০ জুন মুকুল ও জনি তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এছাড়া দুই হাজার টাকা করে প্রতিমাসে মাসোহারা দিতে হবে বলে জানান।
কিন্তু শাহিন এতে রাজী না হলে জনি পিস্তল বের করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনার পর একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহিন পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গেলে উল্লিখিত আসামিরাসহ আরও কয়েকজন তার ওপর চড়াও হন।
তারা এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এরইমধ্যে সেখান হাজির হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা চালালে আসামিরা শাহিনকে হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি দাবি করেন এসব অভিযোগ মিথ্যা। মূলত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন মুকুলকে লাঞ্ছিত ও মারপিট করেন। যা নিয়ে আইনজীবীরা একাট্টা হয়ে মানববন্ধন করেন।
এঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার পর এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন।
অ্যাডভোকেট মুকুল ও জনির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন নিজেই।