ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এ আবেদন করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়েছে, আমি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ও সচেতন নাগরিক। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। গত ১৬ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মিয়া সাহেবের যত সম্পদ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর ২০ জুন আরেক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় ‘‘এবার আলোচনায় আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদ’’ শিরোনামে খবর। ২১ জুন আরেক জাতীয় দৈনিকে ‘‘আছাদুজ্জামানের কত সম্পদ?’’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় জাতীয় দৈনিকের পাতাজুড়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও অনুসন্ধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি, যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা।
এ ছাড়াও, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, যোগ করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
আবেদনে আরও বলা হয়, জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ফলে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়ে তা জানাতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, সাবেক এমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।
আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয় ঈদুল আজহার আগের দিন রোববার ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার খবরকে কেন্দ্র করে।
ওই খবরে বলা হয়, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট, ছেলের নামে একটি বাড়ি এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।