ধর্মীয় বিষয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য: শেরপুরের জেলা জজকে প্রত্যাহার
বিচারক (প্রতীকী ছবি)

বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার বরখাস্ত

স্ত্রীর করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা বিচারের জন্য আমলে নেওয়ায় রংপুরের সাবেক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারকে (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) সাময়িক বরখাস্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ ২৭ জুন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেবাংশু কুমার সরকার, সংযুক্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী জজ), আইন ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে হৃদিতা সরকারে দায়ের করা পিটিশন মামলায় (৩৭/২০২২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, রংপুর কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর অধীন অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে আমলে গ্রহণ করায় জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭ এর বিধি ২৫(১) (ক) অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণক্রমে তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরও পড়ুন: আইনজীবীদের আদালত বর্জন, বাদী-বিবাদীরা করছেন শুনানি

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করার পর বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন। ২০১৫ সালের ১১ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

পরে বাদীর বাবা ৫০ ভরি সোনাসহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেন। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই আসামি পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান।

এ মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল। এরপর দেবাংশু সরকার ও তার বাবা গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিনও নিয়েছিলেন।