প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি সুরক্ষায় সুইডেনের স্টকহোমে সেমিনার করেছে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। সেমিনার থেকে প্রবাসীদের আইনি সুরক্ষা এবং তাদের সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তাসহ সার্বিক স্বার্থ সুরক্ষায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবিতে প্রবাসীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এইচআরপিবি সুইডেন শাখার সভাপতি গোলাম রব্বানির সভাপতিত্বে সেমিনার পরিচালনা করেন এইচআরপিবি সুইডেন শাখার উপদেষ্টা ফকরুদ্দিন আহমেদ।
সেমিনারে মনজিল মোরসেদ প্রবাসীদের আইনি অধিকারসহ বাংলাদেশের মানবাধিকারের চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রয়েছে তাদের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ও নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। আইনি জটিলতার কারণে প্রবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষা ব্যাহত হয় বিভিন্নভাবে। তাই প্রবাসীদের সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তাসহ তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন সময়ের দাবি।
প্রবাসীদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন সংক্রান্ত ৯ দফা সুপারিশমালা পেশ করে তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে প্রবাসীদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাফিজ চৌধুরী, প্রাক্তন কাউন্সিলর খুরশেদ আলম চৌধুরী। প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এইচআরপিবির সুইডেন শাখার সম্পাদক মীর মোয়াল্লেম হোসেন, উপদেষ্টা লিয়াকত হোসাইন ও মনজুরুল হক ইলিয়াস এবং প্রচার সম্পাদক আয়নুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তারা দেশে বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু আইনি জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা এবং অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছেন না। প্রশাসন, আমলা, পুলিশসহ যারা কী-পয়েন্টে আছেন তাদের দুর্নীতির কারণে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। প্রবাসীদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলেই তারা দেশে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন এবং তা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে।