পাঁচ করবর্ষের বিপরীতে ৬৬৬ কোটি টাকা প্রদেয় কর দাবি নিয়ে কর কমিশনারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণের করা পৃথক রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।
পুনর্মূল্যায়নের পর ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭—এই করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে প্রদেয় কর দাবি নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণ ২০১৭ সালে পৃথক রিট করে।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর গত বছর পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১১ মার্চ আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে মূল বিষয়বস্তুর ওপর শুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে রোববার রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি জানান, পাঁচটি করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে কর বাবদ ৬৬৬ কোটি টাকা দাবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। রিট দুটি খারিজ হওয়ায় আয়কর বাবদ গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করতে পারবে এনবিআর।
তবে গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন।