প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগের কারণ হিসেবে আটটি বিষয়কে সামনে এনেছেন।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে তিনি এক খুদে বার্তায় গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
প্রধান বিচারপতির পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, ‘সুপ্রিমকার্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমগুলো রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আজ শনিবার (১০ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম
তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন আপিল বিভাগের আরও পাঁচজন বিচারপতি। আপিল বিভাগে সাতজনের মধ্যে ছয়জন পদত্যাগ করবেন বল জানা গেছে।
অপর পাঁচ বিচারপতিরা হলেন—বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
তবে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হয়েছেন মো. আশফাকুল ইসলাম। তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে রয়েছেন। একসঙ্গে আপিল বিভাগ থেকে ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করার পর হাইকোর্ট থেকে জ্যেষ্ঠতার বিবেচনায় আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল এ তথ্য জানান।