আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) তার পদত্যাগের তথ্য পাওয়া যায়।
২০১৩ সালে খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে সাংবিধানিক শূন্যতার সূচনা হয়।
এছাড় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে করা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের করা সপ্তম সংশোধনী বাতিল, বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকৃতি, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের সরকারি আদেশকে বৈধতা দেয়া, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে দায়ের করা লিভ টু আপিল না শুনেই উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়া এবং দৈনিক আমার দেশের সম্পাদককে সাজা দেয়ার আদেশ আসে তার আমলে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগের পুনর্গঠন ও সংস্কারে সাবেক বিচারকদের ১২ দফা প্রস্তাবনা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির প্রাপ্য বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে আসছিলেন।
পরবর্তী ২০১৬,২০১৯ ও সর্বশেষ ২০২২ সালে তিন বছর করে আবারও নিয়োগ পেয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।