চলতি বছর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করায় এদিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগসহ অধস্তন আদালত খোলা থাকবে।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) এ বিষয়ে পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রজ্ঞাপন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও অফিসসমূল খোলা রাখা প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত ১৫ আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ এবং অফিসসমূহ খোলা থাকবে।
অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালত খোলা রাখা প্রসঙ্গে বলা হয়, ১৩ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনমূলে জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত ১৫ আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হিসেবে অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালসমূহ খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৭। গতকালই উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একদিন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল।
সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বিএনপি-জামায়াত ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি, বাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।