দেশের বিরাজমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এই ১৩ দফা প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবগুলো হলো-
১। ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং সব ধর্মের মর্যাদা সুনিশ্চিত করা।
২। বিশ্ব মানবতার মহামুক্তি সনদ ‘মদিনা সনদ’ এর আলোকে সব নাগরিকের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।
৩। ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখকে ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লব দিবস’ অথবা ‘জাতীয় বিপ্লব দিবস’ অথবা ‘বাংলাদেশ বিপ্লব দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে উক্ত দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। সাম্প্রতিক বিপ্লবে নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান এবং হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৫। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফেডারেল পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন পূর্বক বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রদেশে বিভক্ত করা।
৬। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার সু-নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর বিচারকদের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রবর্তন করা।
৭। ‘ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার’- এই উক্তির আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করা।
৮। মামলার জট নিরসনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করা।
৯। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধী নাগরিক ব্যতীত সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
১০। শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্ম বিদ্বেষী কোনো পাঠক্রম প্রণয়ন না করা।
১১। বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে My Lord/Your Lordship শব্দের পরিবর্তে Your Honour শব্দ প্রবর্তনের বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
১২। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি চিরতরে বন্ধের লক্ষ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
১৩। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত বিচার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করা।