বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক নারী।
এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে রাজধানীর দারুসসালাম থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী মাহবুব হোসেন রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আইনজীবীদের দিকে নথি নিক্ষেপের অভিযোগ, বিচারকের অপসারণ দাবি
মামলায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে মামুনুর রশিদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সুবাদে আসামি ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে মামুনুর রশিদ বিয়ের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে বাড়িতে তুলতে পারবেন না বলে জানান।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই সাভার স্মৃতিসৌধে মামুনুর রশিদ দুই বন্ধুসহ কাবিননামার একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জানান তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আশুলিয়ায় একটা ভাড়া বাসায় নিয়মিত বসবাস শুরু করেন।
ভুক্তভোগী নারী আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনা ওই নারী তার বাবা-মাকে জানালে মামুনুর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বিয়ের কথা গোপন না করায় তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এরপর ২৯ জুলাই আসামি ভুক্তভোগী নারীকে একা বাসায় রেখে চলে যান।
আরও পড়ুন: সময় টিভির সম্প্রচার এক সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশ
এরপর ৪ আগস্ট মামুনুর রশিদ বিয়ের সাক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে বাদীর বাসায় এসে বলেন এতদিন তারা বিয়ের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেছেন। তাকে বিয়ে করে ঘরসংসার করার কোনো ইচ্ছা নেই। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মামুনুর রশিদের মোবাইলে ধারণকৃত অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবেন এবং বাদীকে গুম ও হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার পর আসামি তার সঙ্গে আপোষ মিমাংসা করার কথা বললে তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
পরবর্তীতে আবারও আসামি তাকে বিয়ের কথা বলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।