গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে শেখ হাসিনাসহ যাদের নামে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ এসেছে তাদের সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা মতিউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মিরপুরে শিক্ষার্থী আলভীকে হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমাবার শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকেও আসামি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান এর পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন।

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. জিল্লুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান এবং শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর পিতা অভিযোগকারী আবুল হাসান প্রমুখ।

আরও পড়ুন:

আসামিরা হলেন—

১. শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ;
২. রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও কেন্দ্রীয় নেতা ১৪ দলীয় মহাজোট;
৩. হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও কেন্দ্রীয় নেতা ১৪ দলীয় মহাজোট;
৪. আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক মন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কেন্দ্রীয় নেতা ১৪ দলীয় মহাজোট;
৫. ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ;
৬. আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়;
৭. আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়;
৮. সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা;
৯. মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়;
১০. জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক মন্ত্রী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়;
১১. জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়;
১২. মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়;
১৩. কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়;
১৪. সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন;
১৫. চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ;
১৬. মো. হারুন অর রশিদ সাবেক মহাপরিচালক, র‍্যাব;
১৭. হাবিবুর রহমান, সাবেক কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ;
১৮. হারুন অর রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ;
১৯. বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক যুগ্ম কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ;
২০. মুন্সী সাব্বির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মিরপুর মডেল থানা;
২১. মাইনুল ইসলাম নিখিল, সভাপতি, বাংলাদেশ যুবলীগ;
২২. বজলুর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর;
২৩. এস এম মান্নান কচি, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর;
২৪. আতিকুর রহমান, মেয়র, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, উত্তর;
২৫. মো. হানিফ, সভাপতি, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ;
২৬. ইসমাইল মোল্লা, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা;
২৭. বাপ্পি, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা।
২৮. সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ এবং
২৯. অজ্ঞাত নামা অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মী এবং পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্য সহ আনুমানিক ৫০০ জন।