জয়নুল আবদিনকে মারধরে হারুন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিনকে মারধরে হারুন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা

২০১১ সালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুককে সংসদ ভবনের সামনে বেদম মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে মামলাটি করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন জয়নুল আবদিন ফারুক নিজেই।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব দে বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে হরতালের সমর্থনে ফারুক এবং তৎকালীন সংসদ সদস্য সৈয়দা আশরাফি পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, এ বি এম আশরাফ উদ্দিনসহ বিএনপির অন্য সমর্থকেরা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। সেই সময় হারুন ও বিপ্লবের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্য মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা এবং দুর্ব্যবহার শুরু করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতারা পুলিশকে সংযত আচরণ করতে বললে হারুন ও বিপ্লব হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে ফারুকের মাথায় আঘাত করেন। সেই সময় তিনি ন্যাম ভবনের দিকে দৌড়ে হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা (হারুন ও বিপ্লব) ফারুককে রাস্তায় টেনে নিয়ে যান এবং তাঁর বুকে পিস্তল ধরে হত্যার হুমকি দেন।

সেদিন যা ঘটেছিল

২০১১ সালের ৬ জুলাই তিনিসহ বিএনপি–দলীয় ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য সংসদ ভবনের সামনে মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন। তখন তাঁদের বাধা দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। একপর্যায়ে তাঁদের নেতৃত্বে সংসদ ভবনের সামনে বেদম মারধর করা হয় বিএনপি নেতা ফারুককে।

মারধরের সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে লাথি মারেন এবং তাঁকে ধরে টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে ফেলা হয়। একপর্যায়ে পুলিশের হামলায় তাঁর মাথা ফেটে যায়। ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাঁকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে চান।

এ সময় পুলিশ আবার এগিয়ে এলে ফারুক আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশ তখন আবার তাঁর পিছু নিয়ে সেখানে গিয়ে ফারুকসহ সংসদ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ ফারুককে চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে।

এ সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফারুকের মাথায় ১১টি সেলাই দিতে হয়েছে।