দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নামে হত্যা মামলা

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পদত্যাগ করা জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের ভাই জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমকেও আসামি করা হয়েছে।

দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার উপশহর এলাকার সাহারউদ্দিনের ছেলে রুহান হোসেন। মামলায় মোট ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা রাশেদ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন, মো. মিথুন, মো. সুইট, ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফুজ্জামান মিতা, বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, মো. রমজান, সালেকীন রানা, শাহ আলম, আবু ইবনে রজব, হারুন অর রশিদ রায়হান, মমিনুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম, ইমদাদ সরকার, রানা ও ছাত্রলীগ নেতা মিথুন।

দিনাজপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশের মতো গত ৪ আগস্ট দিনাজপুরেও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। ওই দিন দুপুর ১২টার সময় আন্দোলনকারীরা শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে বাংলা স্কুল মোড় হয়ে জিলা স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন।

এ সময় সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার বড় ভাই আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের উসকানিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিকলীগ বন্দুক, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণ করেন।

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও বিজিবি টিয়ারসেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় রাহুল ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে রাহুলকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়।