মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
খন্দকার মোশাররফ এ সময় আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। খন্দকার মোশাররফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
আদালতে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন।
আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খালাস পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১২ সালে একটি আইন হলো যে, বিদেশে যাদের সম্পদ আছে, সেটিও ঘোষণা দিতে হবে। ২০১৩ সালের ওই আইন অনুযায়ী বিদেশে থাকা আমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পদ ঘোষণা করি। এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে ঘোষণার অঙ্ক ধরেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেছি, এমন কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে করা এই মামলা কেবলই রাজনৈতিক একটি প্রতিহিংসা।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এই মামলার কারণে আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক আজ সৎ সাহসের সাথে সঠিক রায় দিয়েছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।