উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের ৫ দফা অভিমত
বিচারপতি (প্রতীকী ছবি)

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ ও আইনজীবী সমিতি রাজনীতিমুক্ত করার দাবি

স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দলীয় পরিচয়ের পরিবর্তে যোগ্যতা, সততা ও দেশপ্রেমের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ ও বার অ্যাসোসিয়েশন রাজনীতিমুক্ত করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে সংগঠনটি কার্যকরী পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়। সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ্ মোঃ খসরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ সগীর আনোয়ারের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমান, সুরাইয়া বেগম, মমতাজ উদ্দিন, সর্দার খলিলুর রহমান, সাহেদ আলী জিন্নাহ, নাসির উদ্দীন, মোঃ সাইফুল আলম, আব্দুস সবুর দেওয়ান প্রমুখ।

সভায় দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবিলম্বে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিচারকের উপর হামলাকারীকে গণধোলাই

এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে অপর অ্যাডভোকেট কর্তৃক ছুরিকাঘাত করায় তীব্র নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে এর বিচার দাবি করা হয়।

সভায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বেনাভোলেন ফান্ডে সরকারি কোর্ট ফির জমাকৃত অর্থের ৫ শতাংশ জমাকরণসহ আইনজীবীদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় বক্তারা সুপ্রিম কোর্ট বার দেশের সকল বার অ্যাসোসিয়েশনকে সম্পূর্ণ দলীয় মুক্ত রাখার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা সভায় বলেন, দেশের শাসকদের পরামর্শে দলীয় পরিচয়ে আইনজীবীদের বিভক্ত করায় আইনজীবীদের ঐক্য নষ্ট হয়েছে। দেশের বিচারব্যবস্থার উপর ও এর প্রভাব পড়েছে এবং আইন অঙ্গনে দুর্নীতি বেড়েছে। আইনজীবীদেরকে এক কাতারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং দুর্নীতি দমনে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

সভায় আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান বার কাউন্সিল এবং আইন অঙ্গনের দুর্নীতিরোধ করার জন্য সরকারকে সক্রিয় হওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

সভায় খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সারা দেশের আইনজীবীদের সম্মেলন ডেকে এবং প্রত্যেক বার সদস্যকে আমন্ত্রণের মাধ্যমে জাতীয় কাউন্সিল করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।

এ ছাড়া সভায় শেখ আতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। অপর এক প্রস্তাবে বন্যাদুর্গত এলাকায় আইনজীবীদেরকে সাধ্যমতো সাহায্য ও সহযোগিতা দেওয়ার মাধ্যমে দুর্গত মানুষের পাশে অতীতের ন্যায় দাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।