আগেই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আছেন সাকিব আল হাসান। এবার জাতীয় দলের অলরাউন্ডার ও সাবেক এই সংসদ সদস্যের আয়কর হিসাব ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও মামলা করার জন্য দুর্নীতি দমনে কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) আবেদন করেন ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সাকিব আল হাসান অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত মর্মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তিনি শতশত কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে আদাবর থানায় সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটিতে শুধু সাকিব নয়, রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলায় ২৮ জনকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সাকিবকে রেখেছেন ২৮ নম্বরে।
এদিকে সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমি আশা করি সাকিব গ্রেপ্তার হবেন না। সাকিব তো আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু বয়ে আনেনি। সাকিব নিজেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হয়েছে।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার, আমরা যেটুকু বলার বলেছি। মামলা বা এফআইআর হওয়া মানেই কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়া না। আমার বিশ্বাস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে না যায়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গুলিতে অনেকেই নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেসব ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ জড়িত ব্যক্তিদের। সেই তালিকায় রয়েছেন দেশসেরা ক্রিকেটার এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানও। এতে হুমকির মুখে পড়েছে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
জাতীয় দল থেকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) ইতোমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতেও বলা হয়েছে।