সিকিউরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডসহ দেশের সব বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে যাবতীয় বকেয়া লাইসেন্স ফি, জামানত এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রমজান আলী শিকদার। ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার।
আইনজীবী ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার বলেন, ২০০৮ সালে হাইকোর্টে সিকিউরেক্স (প্রা.) (লি.) সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ‘বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা আইন, ২০০৬ এবং বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা বিধিমালা, ২০০৭’কে চ্যালেঞ্জ করে ২৮টি রিট করে।
আরও পড়ুন: সব অপরাধের বিচার হবে: হাইকোর্ট
রিটে বিবাদী করা হয় যথাক্রমে (১) সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, (২) সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং (৩) কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা আইন, ২০০৬ এর ধারা ৮ এর উপধারা ৬, ধারা ৭ এর উপধারা ১ এবং ধারা ৯ কেন বাতিল এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন এবং বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা বিধি, ২০০৭ এর বিধি-৬ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
ওই স্থগিতাদেশের কারণে রিট দায়েরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও কোনো প্রকার লাইসেন্স গ্রহণ না করে এবং কোনো প্রকার লাইসেন্স ফি প্রদান না করেই লাইসেন্সবিহীন নিরাপত্তা সেবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
গত ২৯ আগস্ট শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট মামলাটি রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
রোববার রায়ে আদালত এ সংক্রান্ত আগে জারি করা রুল খারিজ করে দেন এবং রিট দায়েরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশের সব বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স গ্রহণ করে ২০০৭ সাল থেকে যাবতীয় বকেয়া লাইসেন্স ফি, জামানত এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের রাজস্ব খাত আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।