সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে কাজে যোগ দিচ্ছেন না সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা। কাজে যোগদান না করা সংক্রান্ত একটি চিঠি তিনি রাষ্ট্রপতি বরাবর জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা বলেন, গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আমাকেসহ অন্যদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর পরের দিন (২৯ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণে আমি কাজে যোগ দিতে পারছি না মর্মে চিঠি দিয়েছি।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফউদ্দিন খালেদের অপসারণ চেয়ে আবেদন
এর আগে, উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য নতুন করে ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) নিয়োগ দেয় অন্তবর্তী সরকার।
গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৬৬ আইনজীবীকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে গত ১৩ আগস্টের আগে নিয়োগ পাওয়া সব ডেপুটি অ্যাটর্নি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ওইদিন রাতে এই নিয়োগ ও বাতিল সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেন আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফের মামলা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৩ আগস্ট ৯ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যতীত পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত সব ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ আদেশ বাতিলপূর্বক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার ১৯৭২ এর ৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ৬৬ জন আইনজীবীকে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১৬১ জন আইনজীবীকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ করলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরদিন ৬ আগস্ট অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ পদত্যাগ করেন।
এরপর গত ৭ আগস্ট পদত্যাগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ৮ আগস্ট নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান মো. আসাদুজ্জামান।
গত ১৩ আগস্ট তিনজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পাশাপাশি আরও ৯ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এরমধ্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ মোট ২১৪ জনের মধ্যে ৯২ জন পদত্যাগ করেন। অন্য সবার নিয়োগ বাতিল করে মন্ত্রণালয়।