সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দেশ ছেড়েছেন বলে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কয়েকটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রকাশ করে। তবে ওবায়দুল হাসান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে, দেশ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।
প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার দেশ ছেড়েছেন। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
এমন খবর প্রকাশের পরই জনমনে প্রশ্ন জাগে, পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর কিভাবে দেশ ছাড়লেন সাবেক বিচারপতি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি গণমাধ্যমে দেশ ছাড়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান সদ্য সাবেক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমি দেশ ছেড়ে যাইনি। আমার লাল পাসপোর্ট সরকার বাতিল করেছে। তাই আমার দেশ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গত ১০ আগস্ট ছাত্র-জনতার দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
ওইদিন সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন।
পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। ওইদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।