২০১৩ সালে নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে রেহেনা পারভীন নামে এক আইনজীবীকে মারধর, হত্যা চেষ্টা ও টাকা-স্বর্ণলংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালতে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবেশ সম্পাদক ভুক্তভোগী আইনজীবী রেহানা পারভীন বাদী হয়ে এ মামলাটির আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামির হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ওয়াকার্স পার্টি সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী যুবলীগের সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী,আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামাল সোহাগ, ছিদ্দিক নাজমুল আলম, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, সাদিয়া সুলতানা (রত্না), রাজা মান্না তালুকদার, মোহাম্মদ রবিন হোসেন, বাদল পাঠান, মো. আপন মিয়া, মো. তুহিন চৌধুরী, কাজী মো. সৌরভ ও মনীষা দেওয়ান।
আরও পড়ুন: আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বেনজীর-সম্রাটসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা
এছাড়া মামলায় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তিন শতাধিক আইনজীবী। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ পুলিশের ৪০ থেকে ৫০ জন মাঠ প্রশাসনের পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বাদী আইনজীবী রেহেনা পারভীনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বাদীর অভিযোগে আর বলেন, আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রে যৌথ হামলায় বাদীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী মারাত্মকভাবে আহত হন এবং আইনজীবীদের ব্যবহৃত ওয়ালেট, পার্টস, টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বাদী আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।