একমাস নয়, দুইমাস নয়, টানা আট বছর সরকারি চাকুরি করেছেন ভুয়া নিয়োগপত্রে! এই আট বছরে বেতন-ভাতাদি নিয়েছেন প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় অনুসন্ধানের পর মামলা দায়ের হলে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গতকাল রোববার (১৫ সেপ্তেম্বর) এ রায় দেন।
দণ্ডিতের নাম মোছাঃ জেসমিন আক্তার সনিয়া (৩৫)। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামস্থ মোঃ তোজাম্মেল হকের মেয়ে।
আদালত সূত্রে মামলার বিবরণে জানা যায়, জেসমিন আক্তার ২০১১ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভুয়া নিয়োগ আদেশ নিয়ে নাটোর বাগাতিপাড়া সমাজসেবা কার্যালয়ে কারিগরি প্রশিক্ষক পদে যোগদান করেন। একই বছরে তিনি রাজশাহী চারঘাট উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগদান করেন এবং তখন থেকে ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে বিভাগীয় অনুসন্ধানে তার নাম প্রকাশিত হওয়ায় তিনি পলাতক হন। তৎপ্রেক্ষিতে রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: রাশেদুল কবীর ২০১৯ সালে এই মামলা দায়ের করেন।
বিচারকালে মোট সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ সাক্ষী দূরবর্তী জেলায় থাকায় অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট কল্যাণী ব্যানার্জি, এপিপি এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট মো: হযরত আলী।
রায় ঘোষণাকালে আসামি উপস্থিত থাকায় তাকে সাজা পরোয়ানামূলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।