অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে র্যাবের একটি হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
সেখান থেকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আদালতে একটি মামলায় তাকে হাজির করা হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার মামলায় সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ একাধিক মামলায় আদালত থেকে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে কারাগার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটি মামলায় বুধবার তাকে (সাবেক বিচারপতি মানিক) ঢাকার আদালতে হাজির করার কথা। যে কারণে তাকে ঢাকায় পাঠাতে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। পরদিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিককে আদালতে তোলার সময় ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তার ওপর হামলাও হয়। পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।