ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনের নিথর দেহ পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে নিচে ফেলে দেয়ার দৃশ্য

ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ শাইখ আস-হা-বুল ইয়ামিনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাঁধায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা যায়নি। গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনের নিথর দেহ পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে নিচে ফেলে দেয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বর্বরোচিত এ ঘটনা দেখে দেশের মানুষ বিস্মিত ও হতবাক হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নির্মূলে এই নিষ্ঠুরতম আচরণে দেশের ছাত্র-জনতা তখন প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে।

নির্মম ওই হত্যার ঘটনায় রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, শহিদ ইয়ামিনের মামা মো. আব্দুল্লাহ আল মুন কাদির এ অভিযোগ আনেন।

গত ১৮ জুলাই দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশের গুলিতে শহীদ ইয়ামিন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগটি কমপ্লেইন্ট রেজিষ্ট্রারভুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ধারা ৮ অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন পেশ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪ এর (১)(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের সাঁজোয়া যান এপিসি থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুলিশ। সাভার আশুলিয়া এলাকায় বর্বরোচিত এই ঘটনা ঘটে। কোনরূপ মৃত্যুর সনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের মরদেহ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের না করতে ভয়-ভীতি দেখান। সাভার তালবাগ পারিবারিক কবরস্থানে ইয়ামিনের মরদেহ দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাঁধা দেয়। পরে শহিদ ইয়ামিনকে সাভার ব্যাংক টাউন কবরস্থানে দাফন করা হয়।