চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির শিক্ষানবিশ আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাদী মামুনের ভাই ইস্কান্দার মির্জা করা নারাজি আবেদন শুনানি শেষে আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় ওই মামলার আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নওশেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেন বাদী। আদালত বাদীর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মামলা পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল নগরের চকবাজার থানা ডিসি রোড মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীর আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫) মৃত্যু হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল মামুনের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পরে মামুনের ভাই মো. ইসকান্দার মির্জা বাদী হয়ে নগরের চকবাজার থানায় মানুনের স্ত্রী তানিয়া সোলতানা লিজার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় লিজাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মামলার এজহারে বলা হয়, মামুন ও লিজা প্রেম করে বিয়ে করেন। পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মৃত্যুর তিন মাস আগে মামুনকে মারধর করে লিজা।
পরে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়। মামুনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অণ্ডকোষ চেপে ধরে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করা হয়।