২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৭ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেন।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
সেদিন রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্টের এ রায় যুগান্তকারী। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ!
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বিনা পয়সায় প্রতিবন্ধীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত সপ্তাহে ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত।
এর আগে ১১৪ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। একই বিষয়ে পরে ১৭১ জন পৃথক আরও তিনটি রিট দায়ের করেন।
রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। মো. মাহাবুব শেখ, মো. আবু জাহিদ, ফাহিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পার্থ প্রতীম, শাজাহান শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুল ইসলাম, বৃষ্টি রানি রায়, মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও মো. নূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।