চার বছর পর আবারও আয়করমুক্ত সুবিধা পেল গ্রামীণ ব্যাংক। আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে ব্যাংকটিকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কর অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। একই শর্তে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত দান হিসেবে পাওয়া আয় থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে। কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় নিয়ম পরিপালন করে এ সুবিধা পাবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ক্ষুদ্রঋণ উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে নোবেল বিজয়ী এ প্রতিষ্ঠানের আয় বিগত সময়ে আয়করমুক্ত থাকলেও ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি এ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ক্ষমতাবলে ওই আইনের ৭৬-এর উপধারা (৫) এবং (৬)-এর বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সব আয়কে আয়করমুক্ত ঘোষণা দেওয়া হলো। এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৯ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে গ্রামীণ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি এই সুযোগ পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ৩৩ ধারার আওতায়। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও ওই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় গ্রামীণ ব্যাংক।
সাম্প্রতিক বন্যার সময় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তৎপরতা বেশ আলোচিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশভিত্তিক একটি অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা, যারা শিক্ষা, দাওয়াত, মানবকল্যাণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইসলামী পণ্ডিত শায়খ আহমাদুল্লাহ ২০১৭ সালে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই এর চেয়ারম্যান।