সারাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে ৩৯টি বিচারকের পদ সৃষ্টির অনুমতি পেয়েছে আইন ও বিচার বিভাগ। এর মধ্যে ২৯টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ১০টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ পদ সৃষ্টির অনুমতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের উপসচিব চৌধুরী আশরাফুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার (১৬ অক্টোবর) এ অনুমতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ-২, গাজীপুর-২, নরসিংদী-১, ফেনী-১, কিশোরগঞ্জ-১, নেত্রকোনা-১, জামালপুর-১, রাজবাড়ী-১, গোপালগঞ্জ-১, কক্সবাজার-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, ভোলা-১, খাগড়াছড়ি-১, মৌলভীবাজার-১, রাজশাহী-১, নাটোর-১, বগুড়া-২, জয়পুরহাট-১, সাতক্ষীরা-১, যশোর-১, রংপুর-১, মেহেরপুর-১, দিনাজপুর-১, কুড়িগ্রাম-১, লালমনিরহাট-১ সহ মোট ২৯টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং ঢাকা-৪, চট্টগ্রাম-৪ ও খুলনা-২ টি সহ মোট ১০টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থায়ী জজ পদ সৃষ্টির অনুমতি পেলো আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি সারাদেশে ৯১ টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ২১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এবং এর সহায়ক কর্মচারী পদ সৃষ্টি করার অনুমতি চেয়ে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
অন্তর্বর্তী সরকার বিচার বিভাগ সংস্কারে একটি কমিশন গঠন করেছে। মামলাজট নিরসনে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে এই কমিশন। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও জট কমিয়ে আনতে ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট একটি প্রতিবেদন দেয় আইন কমিশন।
প্রতিবেদনে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে মামালা জটের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় পর্যাপ্ত আদালতে বিচারক না থাকা এবং বিশেষায়িত আদালতে পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগ না হওয়া।
সেই কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে পদ সৃষ্টি করে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ৫ হাজার বিচারক নিয়োগ করা হলে জট কমিয়ে মামলার সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব।