রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের নবনিযুক্ত সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার সোম ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনিযুক্ত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চুকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভ শেষে পিপি ও এপিপির অফিস কক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দিয়ে দেন বিক্ষোভকারী আইনজীবীরা।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার যৌথ আয়োজনে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এন এম শাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (২), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার সমন্বয়ক এইচ এম হাসিব, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্য অ্যাডভোকেট এম এম শাহরিয়ার জামান রাজিব, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আইয়ুব খান, অ্যাডভোকেট মো. আহাদুল ইসলাম রতন, অ্যাডভোকেট মো. হাকিম খান রিপন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন খান দিপু, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ (২), অ্যাডভোকেট আমানউল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট মো. চঞ্চল শিকদার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ টোকন মণ্ডল বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক চার মন্ত্রীর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড
বক্তারা বলেন, রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের নবনিযুক্ত সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) স্বপন কুমার সোম ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এর এজেন্ট। তিনি ২০২১ সালে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া নবনিযুক্ত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। তিনি ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে রাজবাড়ী-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছেন। তাদের মতো ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে জিপি-এপিপি নিয়োগ করে ২৪ এর আন্দোলনে নিহত শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানী করা হয়েছে।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বপন কুমার সোম ও খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চুকে অপসারণের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন শেষে আদালত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রদক্ষিণ করেন আইনজীবীরা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে জিপি ও এপিপির অফিস কক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দেন তারা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি) শাখা থেকে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগ করা সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে একজন সরকারি কৌঁসুলি, দুজন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, ১০ জন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, দুজন পাবলিক প্রসিকিউটর, ছয়জন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও চারজন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হয়।