সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় পদ থেকে বাদ দেওয়া হলো অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিনকে। তাঁর জায়গায় মো. আশিক উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন গত ৩১ অক্টোবর স্বাক্ষরিত এক আদেশে নতুন পিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি একই আদেশে ফয়েজ উদ্দিনের নিয়োগকে বাতিল করা হয়।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত আদেশে সিলেটে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পান অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন।
এই খবর জানাজানি হলে নবনিযুক্ত পিপি ফয়েজকে প্রত্যাখ্যানসহ তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আদালতপাড়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে জাতায়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। অতীতে ছাত্রলীগের অগ্রভাগের নেতা থাকলেও পরে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন ফয়েজ উদ্দিন।
কিন্তু পিপি হিসাবে তাকে নিয়োগ করায় ক্ষুব্ধ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা, নাখোশ জামায়াতও। তারা পৃথক অবস্থান থেকে নিয়োগের পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও আদালত এবং খোদ পিপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পিপির কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। অবশেষে পিপি পদ হারাতে হলো ফয়েজ উদ্দিনকে।
বিএনপি নেতা সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সিলেট নারী নির্যাতন আদালতে পিপি’র দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি সিলেট এডিএম কোর্টের অ্যাডিশনাল পিপি ছিলেন।