মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : হত্যা মামলায় ২ ভাইকে মৃত্যুদন্ড, একইসাথে প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় ঘোষণা করেন।
একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামীরা হলেন- কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএম চর ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার এলাকার মৃত আহমদ কবিরের ২ পুত্র জমির উদ্দিন ও আওরঙ্গজেব। দন্ডিতদের মধ্যে জমির উদ্দিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামী আওরঙ্গজেব পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এবং আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট ছৈয়দ আলম ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে চকরিয়া উপজেলার বিএম চর ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার এলাকার দলিলুর রহমানের পুত্র মনজুর আলমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত মনজুর আলমের পিতা দলিলুর রহমান বাদী হয়ে জমির উদ্দিন ও আওরঙ্গজেব সহ ১৬ জনকে আসামী করে আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার চকরিয়া থানা মামলা নম্বর : ৩১, তারিখ : ২১/১০/২০১৩ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৪৫৯/২০১৩ (চকরিয়া) এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৯৮২/২০১৮ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জসীট (অভিযোগপত্র) প্রদান করেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই মামলাটি চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে বিচারকার্য শুরু করা হয়।
মামলাটিতে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে তাদের জেরা, নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা, আলামত প্রদর্শন, আসামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
রায় প্রচারের দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী আসামী জমির উদ্দিন ও আওরঙ্গজেবকে ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড প্রদান, একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন। রায়ে মামলার অপর ১০ জন আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।