বাকশাল প্রবর্তন সংক্রান্ত সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

জনগণের পক্ষে কথা বলতে পঞ্চদশ সংশোধনী মামলায় পক্ষভুক্ত হলেন ৪ আইনজীবী

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলে দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতে ইন্টারভেনর হিসেবে চার ব্যক্তি হাইকোর্টে নিজেদের পক্ষভুক্ত করেছেন।

এই চারজন হলেন- ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, নাফিউল আলম সুপ্ত এবং সাইয়েদ আবদুল্লাহ।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের পক্ষভুক্ত করে আদেশ দেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) আইনজীবীরা বিষয়টি জানিয়েছেন।

আদালতে আবেদনকারী চারজনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ চৌধুরী।

এর আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত পক্ষভুক্ত হয়েছেন।

এদিকে ৩০ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

গত ১৯ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন।

সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়।