‘মৃত আইনজীবীকে অতিরিক্ত জিপি নিয়োগ’

‘মৃত আইনজীবীকে অতিরিক্ত জিপি নিয়োগ’

জামালপুরে দুই বছর আগে মৃত এক ব্যক্তিকে সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) এক বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির সহসভাপতি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফজলুল হক এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন দুই বছর আগে মারা গেলেও তাকে অতিরিক্ত জিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পিপি দিদারুল ইসলামের নাম একই তালিকায় দুইবার লেখা হয়েছে। আমরা কেউ চিনি না এমন আইনজীবীও কিভাবে নিয়োগ পায়?”

আনোয়ার হোসেনের বাড়ি জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায়। তিনি দুই বছর আগে মারা যান বলে তার সহকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন।

সকালে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে পিপি, জিপি ও এপিপিদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

এ সময় বিএনপি নেতা ফজলুল হক বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদেরকে বঞ্চিত করে মৃত আইনজীবী, বারের সদস্য নয় এমন এক আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সরকারি আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এপিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. রাসেল রানা, আঁখি আক্তার, তামিমা বিলকিস, হাবিবা সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিনকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী দাবি করে তাদের নিয়োগ বাতিল চেয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

সংগঠনের জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মোহন, মোবারক হোসেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবনির্বাচিত পিপি মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জেলা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মনোনয়নে তিনি একবার জামালপুর জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

১৩ নভেম্বর উপ-সলিসিটর মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত জিপি, অতিরিক্ত জিপি, সহকারী জিপি হিসেবে ২৮ জন এবং পিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপি হিসেবে ৩৬ জন আইনজীবীকে জামালপুর আদালতে নিয়োগ দেওয়া হয়।