বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৮ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ২০২২ সালে তৈরি করা সংশোধিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা কেন অবৈধ হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্ব) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটটি দায়ের করেন নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির।
আইনজীবী শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুসারে ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা পাবে। সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুসারে তালিকাভুক্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছাড়া সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই আইনে বিশেষ শ্রেণি রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ এই শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা করে জামুকা ২০২২ সালে সংশোধিত তালিকা তৈরি করে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়। তালিকাভুক্ত কোলাবরেটরস (রাজাকার) ছাড়া দেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুল হয়েছে।