সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন আদালর প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলী নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। একই সঙ্গে বিচারকদের শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এবং আদালত চত্বরে আইনজীবী ও জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতিতের লক্ষ্যে বিচার বিভাগের অধীন একটি পৃথক বিশেষায়িত নিরাপত্তা ফোর্স গঠনের দাবী জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবী জানানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সংগঠনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম এবং মহাসচিব মাজহারুল ইসলাম সইকৃত সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ এবং সেই সংঘর্ষে দুষ্কৃতিকারীদের তাণ্ডবে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকান্ড বিচার বিভাগের জন্য এক লজ্জাজনক ঘটনা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়া গত ২১ দিনাজপুর জেলা জজ আদালতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই উচ্ছৃঙ্খল জনতার তাণ্ডব, আদালতের কার্যক্রমে বাধা প্রদান এবং এজলাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি বিচার বিভাগের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
এসব ঘটনা বিচারকদের পেশাগত কাজের পরিবেশ ও তাঁদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আদালতের পবিত্র প্রাঙ্গণে এমন অরাজক পরিস্থিতি শুধু বিচার বিভাগের মর্যাদাহানিই করে না বরং বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকেও বিঘ্নিত করে।
আদালতের সার্বিক নিররাপত্তা নিশ্চিতকরণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা থাকার পরও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন খুবই উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন সারা দেশের বিচারাঙ্গনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে সংবাদ বিবৃতিতেতে আরও বলা হয়, আদালত প্রাঙ্গণে সৃষ্ট নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, ইন্ধনদাতা এবং সহায়তাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে বিচারকদের শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এবং আদালত চত্বরে আইনজীবী ও জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতিতের লক্ষ্যে বিচার বিভাগের অধীন একটি পৃথক বিশেষায়িত নিরাপত্তা ফোর্স গঠনের দাবী জানানো হয়েছে।