বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমরা বিচার বিভাগে কার্যকর পৃথকীকরণে ও বিচার সেবা সহজিকীকরণে বদ্ধ পরিকর। এ নিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা বস্তবায়নে কাজ করছে বিচার বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি গতকাল মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) National Defence College এর আমন্ত্রণে ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ও তদুর্ধ পর্যায়ের বাংলাদেশী ও বিদেশী সামরিক কর্মকর্তা এবং যুগ্ম-সচিব ও তদুর্ধ পর্যায়ের বেসামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিচালিত কোর্সে রিসোর্স পার্সন (Resource Person) হিসেবে অভিভাষণ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি তাঁর অভিভাষণে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে কোর্সে অংশগ্রহণকারী উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের ধারণা প্রদান করেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে এই ভূ-খণ্ডে আইন ও বিচার ব্যবস্থার উদ্ভব ও বিকাশ, আইনের বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক বিষয়, বাংলাদেশের আদালত ব্যবস্থাপনা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের ভূমিকা, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দেশের উচ্চ আদালতের Judicial Activism সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এছাড়া, কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের সম্মুখে তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত রোডম্যাপ এর বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরেন।
মাত্র ৪ (চার) মাস সময়ের মধ্যে উক্ত রোডম্যাপ বাস্তবায়নের যে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কোর্সে অংশগ্রহণকারী উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের ধারণা প্রদান করেন।
বিশেষ করে, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনয়নে তাঁর উদ্যোগে প্রণীত Judicial Appointment Council এর মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্টের বিচারক নিয়োগে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে মর্মে তিনি সকলকে অবহিত করেন।
এছাড়া, বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে তাঁর নেতৃত্বাধীন সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল সক্রিয় রয়েছে মর্মে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। বিচার বিভাগে কার্যকর পৃথকীকরণে ও বিচার সেবা সহজিকীকরণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা বস্তবায়নে তিনি বদ্ধ পরিকর রয়েছেন মর্মে তাঁর বক্তব্যে জানান।