ডিজিটাল যুগে বিচার বিভাগ, জারি করা হল 'প্র্যাকটিস নির্দেশনা'
ভার্চুয়াল কোর্ট (প্রতীকী ছবি)

বিচার কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে আইন সংশোধনের প্রস্তাব

প্রথম পর্যায়ে বিচার কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন বিষয়ে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের এগার নম্বরে রয়েছে বিচার কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত অংশটি।

এতে বিচার কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন, দেওয়ানি আদালতে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু, ই-ফাইলিংয়ের মামলাগুলোকে কোর্ট ফি হ্রাস/ছাড় ও ফাস্ট ট্রাকের মাধ্যমে দ্রুত শুনানি করে নিষ্পত্তিতে অগ্রাধিকারের মাধ্যমে ই-ফাইলিংকে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। সব আদালতে বর্তমান ব্যবস্থার পাশাপাশি ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ই-ফাইলিংসহ সব কোর্ট ফি, খরচ, জরিমানাসহ অন্যান্য ফি পরিশোধের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।

২৩ জেলা সদরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ কার্যক্রম, ৩৪ উপজেলার ৫১ চৌকি আদালতের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ, আদালত প্রাঙ্গণে সাক্ষীদের অপেক্ষার জায়গা নির্ধারণ, এজলাসে বসার ব্যবস্থা, আদালতের হাজতে (নারী-পুরুষ) হাজতিদের বসার ব্যবস্থা, প্রতিটি আদালত প্রাঙ্গণে নারী-শিশুদের উপযোগী শৌচাগার ও অপেক্ষাগার স্থাপন, এজলাসে আসামিদের জন্য লোহার খাঁচা থাকলে অপসারণ ও বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে আদালত ভবনের নিচতলায় ‘তথ্য ডেস্ক’ স্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

প্রকাশ্য আদালতে রায় ও আদেশ ঘোষণা এবং প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ওয়েবসাইটে রায় বা আদেশের কপি আপলোড করা, শতভাগ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের সাক্ষ্য সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুসারে অনলাইনে গ্রহণ, সমন জারি কার্যকর করার জন্য পোস্টাল অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে।