মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : ৪০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) এ রায় ঘোষণা করেন।
একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামী হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার আব্দুস সালাম ও মৃত রাবেয়া খাতুনের পুত্র হাসেম (৪০)। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা এবং আসামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট হরি সাধন পাল মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০২২ সালের ৩ জুন সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল পাড়ায় আসামী হাসেমের বাড়িতে র্যাব-১৫ এর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে হাশেমকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে তার বাড়ির শোকেস থেকে ৪০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর পুলিশ পরিদর্শক রফিক আহমেদ মজুমদার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ১১, তারিখ : ০৩/০৬/২০২২ ইংরেজি, যার জিআর মামলা নম্বর : ৫২৫/২০২২ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৫১/২০২৩ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি বিচারের জন্য ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারী চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা, আসামীর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নিশাত সুলতানা ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ) ধারায় মামলার একমাত্র আসামী হাসেমকে দোষী সাব্যস্থ করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।